প্রায় তিন যুগ পূর্বে (১৩৯১-এর ২রা বৈশাখ তারিখে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে 'বাঙ্ময় উচ্চারচর্চা প্রতিষ্ঠান' হিসেবে কণ্ঠশীলনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রয়াত অধ্যক্ষ শিক্ষাগুরু ওয়াহিদুল হকের দেয়া নাম গ্রহণ করে এর প্রতিষ্ঠাকালে যুক্ত ছিলেন- বাক্শিল্পাচার্য নরেন বিশ্বাস, বিপ্লব বালা, মীর বরকতসহ আরও অনেকে।
বাংলা সাহিত্যকে নিরক্ষরপ্রধান এই দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং শিক্ষিত সকল মানুষকে একক মান মৌখিক ভাষায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ১০৭টি আবর্তনের (কোর্স) সমাপন ঘটেছে কণ্ঠশীলনের প্রমিত উচ্চারণ, বানান ও আবৃত্তি বিদ্যায়তনের। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয়েছে ১০৮তম আবর্তন। কোর্স উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীবৃন্দ দেশের বিভিন্ন প্রচার ও গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল পদে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন। এ দেশের আবৃত্তি, অভিনয় এবং বাচিক শিল্পে চমৎকার নৈপূণ্য প্রদর্শন করে বাংলা ভাষা চর্চায় আদর্শ ভূমিকা রাখার প্রয়াস পাচ্ছেন।